আপনার নতুন করে জন্ম হওয়া দরকার
যীশু আমাদের বলেন যে স্বর্গের দরজাগুলি আমাদের জন্য বন্ধ যদি না আমাদের নতুন করে জন্ম হয়। এই জন্য আমরা প্রশ্ন করিঃ বন্ধু, আপনার কি নতুন করে জন্ম হয়েছে? গির্জার সদস্য, আপনার কি নতুন করে জন্ম হয়েছে? যদি না হয়ে থাকে আপনি হারিয়ে পেছেন। কারণ যীশু বলেন, “...নতুন করে জন্ম না হলে কেউ ঈশ্বরের রাজ্য দেখতে পায় না।“ (যোহন ৩:৩খ পদ)
কিন্তু আপনি পশ্ন করতে পারেন, নতুন করে জন্ম হওয়া মানে কি? প্রথমে আমরা বলব, বাপ্তিষ্ম গ্রহণ করা নতুন জন্ম নয়, কারণ অনেকে বাপ্তিষ্ম নিয়েছে এবং এখনও নতুন করে জন্ম হয় নাই। বাইবেলে পড়ুন (প্রেরিত ৮:১৮-২৫ পদ)। নতুন করে জন্ম হওয়া মানে শুধু গির্জায় যোগ দেওয়া নয়, কারণ অনেকে হঠাৎ ভুল করে যায়। বাইবেলে পড়ুন, (গালাতীয় ২:৮ পদ)। নতুন করে জন্ম হওয়া মানে শুধু প্রভুর ভোজ খাওয়া নয়, কারণ অনেকে অযোগ্যভাবে খেয়েছে এবং তা তাদের জন্য দন্ঠ দত্ত দস্ত দণ্ড বয়ে এনেছে। বাইবেলে পড়ুন (১ করিন্থীয় ১১:২৯ পদ) নতুন জন্ম করে হওয়া মানে সংশোধিত বা আরো ভাল জীবন জাপনের চেষ্টা করা নয়। “......কারণ অনেকেই ঢুকতে চেষ্টা করবে কিন্তু পারবে না।“ (লূক ১৩:২৪ পদ) নতুন করে জন্ম হওয়া মানে শুধু প্রার্থনা করা নয়, কারণ যীশু বলেন, “এই লোকেরা মুখেই আমার সম্মান করে, কিন্তু তাদের অন্তর আমার কাছ থেকে দূরে থাকে।“ (মথি ১৫:৮ পদ)।
অনেকে হয়ত বলে থাকে, ‘যদি চেষ্টা করি আমি সবই করতে পারি; গরীবদের দান করা, অসুস্থদের দেখাশুনা করা এবং প্রতিদিন জতটা পারি ভাল হওয়া, তাহলে নিশ্চয়ই আমার নতুন করে জন্ম হয়েছে।‘ না, আমরা যা নই তা হতে পারি না। “কারণ পাপ স্বভাবের মন ঈশ্বরের আইন-কানুন মানতে চায় না, মানতে পারেও না।“ (রোমীয় ৮:৭খ পদ)। আমাদের অবশ্যই হৃদয়ের পরিবর্তন দরকার। কারণ ঈশ্বর নবীদের মাধ্যমে বলেছেনঃ “আমি তোমাদের ভেতরে নতূন অন্তর ও নতুন মন দেব;” (জিহিষ্কেল ৩৬:২৬ ক পদ)।
তাহলে, নতুন করে জন্ম হওয়ার মানে কি? কিভাবে এবং কখন আমরা তা গ্রহণ করতে পারি? যীশু বলেন, “মানুষ থেকে যা জন্ম তা মানুষ......” যোহন ৩:৬ পদ)। যখন একটি শিশু জন্মে একটি নতুন জীবনের জন্ম হয়। তাই একিভাবে যখন আমাদের নতুন করে জন্ম হয়, তখন আমাদের অন্তরে খ্রীষ্ট যীশুর জীবনের মত করে নতুন এক আত্না জন্ম নেয়। এইজন্য এটাকে জন্ম বলা হয় – খ্রীষ্ট যীশুতে এক নতুন জীন যা অনন্তকাল বেঁচে থাকবে।
সম্পূর্ণ পাঠঃ আপনার নতুন করে জন্ম হওয়া দরকার
যদি আমরা হারানো, ভারাক্রান্ত পাপী হিসাবে শান্তির জন্য আকাঙ্খা নিয়ে ও দুঃখিত হয়ে কেঁদে কেঁদে ঈশ্বরের কাছে এসে বলি, “পরিত্রাণ পেতে হলে আমাকে অবশ্যই কি করতে হবে?” তখন আমরা অবশ্যই, তাই করব যেমন পৌল বলেছিলেন, “প্রভু যীশুর উপরে বিশ্বাস করুন।“ আমাদের অবশ্যই সম্পূর্ণভাবে ঈশ্বরের কাছে আত্নসমর্পণ করতে হবে।
যে ঈশ্বর মনের ভিতরে আপনার সরলতা দেখেন। তিনি পবিত্র আত্নার শক্তির মাধ্যমে আপনার কাছে আসেন এবং আপনার ভিতরে একটি সত্য আত্না সৃষ্টি করেন। বাইবেলে পড়ুন, (গীতসংহিতা ৫১:১০ পদ)। এভাবে আপনার নতুন করে জন্ম হয় – ঈশ্বর বিশ্বাসের দ্বারা খ্রীষ্ট যীশুতে এক নতুন সৃষ্টি। বাইবেলে পড়ুন, (২ করিন্থীয় ৫:১৭ পদ)।
কিন্তু কখন আমি নতুন জন্মর আশা করতে পারি? ঈশ্বর পবিত্র আত্নার মাধ্যমে বলেন, “......আজ যদি তোমরা তাঁর কথায় কান দাও,” (ইব্রীয় ৩:৭খ পদ)। এর অর্থ যে কোন সময়ে অথবা যে কোন স্থানে যদি আমরা এই (পবিত্র আত্নার) ডাক শুনি ও সাড়া দেই, আমরা আত্নার দ্বারা নতুন জন্ম পেতে পারি, এভাবে ঈশ্বরের সন্তান হতে পারি।
কিন্তু এতে কত সময় লাগবে, আমাকে কি অবশ্যই নতুন জন্মর মধ্যে বৃদ্ধি পেতে হবে না? না, আমরা ঈশ্বরের রাজ্যে জন্মেছি; তা আমাদের তাঁর সন্তান ও উত্তরাধিকারী করে তোলে, এবং আমরা পূর্ণ আত্নসমর্পণ ও যীশুর কাছে ক্ষমা চাওয়ার মুহূর্তেই এই স্থান অধিকার করতে পারি।
শেষে, কিভাবে আমি জানতে পারি যে, আমার নতুন করে জন্ম হয়েছে? পৌল, বাইবেলের রোমীয় ৮ অধ্যায় ১, ৬, ৯, ও ১০ পদে শিক্ষা দিয়েছেন, “যার অন্তরে খ্রীষ্টের আত্না নেই সে খ্রীষ্টের নয়।“ বাইবেল শিক্ষা দেয় – যারা হারানো তারা পাপে মৃত, দন্দিত, মন্দ – বিবেক সম্পন্ন, পাপ-স্বভাবমনা, আশাহীন, অবাধ্য, পৃথিবীতে ঈশ্বরবিহীন। অপরদিকে, একজন নতুন জন্ম পাওয়া খ্রীঊষ্টিয়ান একজন ঈশ্বরের সন্তান, খ্রীষ্টে জীবিত, পরিত্রাণ প্রাপ্ত, অদন্দিত, সু-বিবেকসম্পন্ন, আত্নিকমনা, পবিত্র আত্নায় পরিপূর্ণ এবং বিশ্বাসে পরিপূর্ণ, অনন্ত জীবনে আশাবাদী। তার পাপ যীশুর রক্তে মুছে গেছে। তার হৃদয় এমন ভালবাসা ও শান্তিতে পরিপূর্ণ, যা ভাবা যায় না। সে প্রভুর ইচ্ছা পালন করতে ভালবাসে, আগ্রহ প্রকাশ করে ও ক্ষমতা রাখে। সে মৃত্যুর পরও আশাবাদী এবং স্বর্গবাসী হবার প্রত্যাশী। এমন পরিবর্তন (পার্থক্য) জেনেও কি কেউ তা কার্য্যে পরিণত করবে না? সম্ভবত নয়! কারণ, “পবিত্র আত্না নিজে আমাদের অন্তরে এই সাক্ষ দিচ্ছেন যে, আমরা ঈশ্বরের সন্তান।“ (রোমীয় ৮:১৬ পদ)।
প্রিয় পাঠক, আত্নার জন্য বয়ে আনা শান্তি ও আনন্দের আভিজ্ঞতা যদি আপনার না হয়ে থাকে, নিশ্চিন্তে বিশ্রাম করবেন না, কারণ আপনি ঈশ্বর ও আপনার আত্নাকে তুচ্ছে মনে করছেন। আপনার নতুন করে জন্ম হওয়া দরকার।